সরকারি চাকরিতে কোটা : প্রজ্ঞাপনে যা আছে
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় সর্বোচ্চ আদালতে সামগ্রিকভাবে বাতিলের পর মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার আদেশ জারি করছে, সমতার নীতি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রজাতন্ত্রের কর্মে প্রতিনিধিত্ব লাভ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থাৎ সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরি বা কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সব গ্রেডে যে কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা হলো মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য পাঁচ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এক শতাংশ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এক শতাংশ।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, এছাড়া নির্ধারিত কোটায় যোগ্যপ্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদগুলো সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। এ প্রজ্ঞাপনে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি রহিত করা হয়।
গত মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে এক ব্রিফিংয়ে কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এই প্রজ্ঞাপন জারির প্রেক্ষাপট, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং সরকারের অবস্থান তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের কথা রেখেছি, এই প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
এর আগে, রবিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে রায় দেন, এ নির্দেশনা ও আদেশ সত্ত্বেও সরকার প্রয়োজনে ও সার্বিক বিবেচনায় নির্ধারিত কোটা বাতিল, সংশোধন ও সংস্কার করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে ২০টি গ্রেড আছে। এরমধ্যে সরাসরি নিয়োগ হয় মূলত নবম থেকে ২০তম গ্রেডে। আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে দেয়া পরিপত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা তুলে দিয়েছিল সরকার। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির (১৩তম থেকে ২০তম গ্রেড) গ্রেডে ৫৬ শতাংশ পদে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের সুযোগ ছিল।